ঢাকা , সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫ , ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
শিশুশ্রমে আরও ১২ লাখ শিশু, চারজনে এক শিশুর রক্তে সীসা রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় টেকসই সমাধানের তাগিদ সব পক্ষের ইসি কারো হয়ে কাজ করবে না: সিইসি নারী কাবাডি বিশ্বকাপের ট্রফি উন্মোচন করলেন প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অনেক সমস্যা আছে তবে সম্ভাবনাও রয়েছে-অর্থ উপদেষ্টা সব সরকারি ভবন পরিবেশবান্ধব ‘গ্রিন বিল্ডিং’ করার আহ্বান উপদেষ্টা রিজওয়ানার পুলিশের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে বড় রদবদল পাঁচ ব্যাংক ধ্বংসে দায়ী পরিচালক-কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ অতীতের মতো প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন জনগণ মানবে না শেখ হাসিনার রায় ঘিরে মাঠে থাকবে জামায়াতসহ ৮ দল সীতাকুণ্ডে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যু, আহত ১৬ সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শেখ হাসিনার রায় ঘোষণা নিয়ে ফের নৈরাজ্য সৃষ্টির জন্য পাঁয়তারা চলছে-মির্জা ফখরুল রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ট্রাইব্যুনাল এলাকায় সেনা মোতায়েন চেয়ে চিঠি প্রশাসনে বইছে ভোটের হাওয়া ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল রায় যা-ই দিক, তা কার্যকর হবে-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা শেখ হাসিনার রায় আজ সরাসরি দেখবে গোটা বিশ্ব সংসদ নির্বাচন ঘিরে বইছে উচ্ছ্বাসের জোয়ার দাবি পূরণের আশ্বাসে বিচারকদের কলম বিরতি কর্মসূচি প্রত্যাহার নৌপরিবহন অধিদপ্তরের পক্ষপাতমূলক আচরণ বন্ধসহ ১০ দাবি কোয়াবের

প্রশাসনে বইছে ভোটের হাওয়া ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন

  • আপলোড সময় : ১৭-১১-২০২৫ ০৫:১৭:৫০ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৭-১১-২০২৫ ০৫:১৭:৫০ অপরাহ্ন
প্রশাসনে বইছে ভোটের হাওয়া ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
* সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার জন্য করণীয় সব কিছুই করছে ইসি * তফসিলের আগেই লটারির মাধ্যমে মাঠ প্রশাসন ঢেলে সাজানো হচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ঘোষণামতে আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ভোট সামনে রেখে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো ইতিমধ্যে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে শুরু করেছে। নির্বাচনের এই প্রস্তুতিমূলক সময়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ছাড়াও সরকারের কেন্দ্রীয় ও মাঠ প্রশাসনে চলছে ব্যাপক কর্মতৎপরতা। বিশেষ করে মাঠ প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও বিভাগীয় কমিশনার নিয়োগ বদলির কার্যক্রম প্রায় শেষ করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। অবশ্য মাঠ প্রশাসনে বর্তমানে কর্মরত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) আপাতত প্রত্যাহার করা হচ্ছে না। জনপ্রশাসনের গত কয়েকদিনের কার্যক্রমের চিত্র থেকে এমন আভাস মিলেছে। কর্মকর্তারা জানান, এখন যারা মাঠ প্রশাসনে পদায়ন পাচ্ছেন, তারা আগামী নির্বাচনের দায়িত্ব সামলাবেন। নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকবেন ডিসিরা। সেক্ষেত্রে তার ওপর গুরু দায়িত্বই থাকবে। এজন্য ডিসি নিয়োগে বর্তমান প্রশাসন বেশ সতর্ক অবস্থান নিয়েছিল। তবুও বিতর্ক এড়ানো সম্ভব হয়নি। কয়েকজন ডিসি ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া কয়েকজন বিগত সরকারের সময় ভালো ভালো দফতর বা সংস্থায় পদায়নে ছিলেন। তারা গত সরকারের আস্থাভাজন হিসেবে বাড়তি সুবিধা পেয়েছিলেন বলেও অভিযোগ। তবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এসব অভিযোগ স্বীকার করতে চাইছে না। তাদের ভাষ্য, ব্যাপক যাচাই-বাছাইয়ের মধ্য দিয়ে এবার ডিসি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অবশ্য ডিসি হতে পারেননি এবং অতীতে বঞ্চিত ছিলেন বলে দাবি এমন কর্মকর্তারা বলছেন, অনিয়ম-দুর্নীতির মধ্য দিয়ে অনেকেই ডিসি হয়েছেন। তারা সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করতে সক্ষম হয়েছেন। যদিও সংশ্লিষ্ট তারা কারা এমন প্রশ্নের সুনির্দিষ্ট উত্তর মেলেনি বঞ্চিতদের কাছ থেকে। নিয়োগ প্রজ্ঞাপন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গত ৮ ও ৯ নভেম্বর ২৯ জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ দেওয়া হয়। চার দিন পর তাদের থেকে দুজনের নিয়োগ বাতিল করা হয়। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই তাদের নিয়োগ বাতিল করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ৮ নভেম্বর সিলেট জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সন্দ্বীপ কুমার সিংহকে বরগুনার ডিসি হিসেবে পদায়ন দেওয়ার পর ১৩ নভেম্বর তার নিয়োগ বাতিল করা হয়। এ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলা চলছে, এমন তথ্যের ভিত্তিতে তার নিয়োগ বাতিল হয়। এ ছাড়া ৯ নভেম্বর মেহেরপুরে ডিসি নিয়োগ পাওয়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মিজ লুৎফুন নাহারের নিয়োগাদেশও বাতিল করা হয়। তবে তার নিয়োগ বাতিলের বিষয়ে সঠিক তথ্য জানা যায়নি। জনপ্রশাসনের প্রজ্ঞাপনে দেখা গেছে, কয়েকটি জেলার ডিসিকে নিয়োগের মাত্র কয়েকদিনের মাথায় অন্য জেলায় বদলি করা হয়েছে। অতিমাত্রায় সতর্কতার অংশ হিসেবে এসব বদলির ঘটনা ঘটছে বলে ধারণা কর্মকর্তাদের। গত ১৩ নভেম্বর নতুন করে আরও ২৩ জেলায় ডিসি নিয়োগ দেওয়া হয়। তাদের মধ্যে ২২ জনই নতুন করে ডিসি হয়েছেন। আর একজনের জেলা বদল করা হয়েছে। এসব নিয়োগের মধ্য দিয়ে প্রায় সব জেলায়ই ডিসি নিয়োগের কার্যক্রম শেষ করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। নতুন করে কাউকে প্রত্যাহার করা হলে সেখানে নতুন ডিসি নিয়োগ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে। নির্বাচন মাথায় রেখে একই দিন নতুন করে চার বিভাগে বিভাগীয় কমিশনারও নিয়োগ দিয়েছে সরকার। তারা আগামী নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় থাকবেন। নতুন কমিশনারদের মধ্যে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. এ এন এম বজলুর রশিদকে রাজশাহী, ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমানকে বরিশাল এবং বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান ফারাহ শাম্মীকে ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনার পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনার মোখতার আহমেদকে খুলনার বিভাগীয় কমিশনার পদে বদলি করা হয়েছে। তবে বর্তমানে কর্মরত ইউএনওদের আপাতত বদলি কিংবা প্রত্যাহারের কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র। প্রশাসন বিশ্লেষক ও সাবেক সচিব এ কে এম আব্দুল আউয়াল মজুমদার বলেন, নির্বাচনে ডিসি-ইউএনওদের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। তাদের আমি পায়োনিয়ার (পথিকৃৎ) বলি। তারা যদি সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন, তাহলে পুলিশ তার দায়িত্ব ঠিকঠাকভাবে পালনে বাধ্য থাকবে। তিনি বলেন, জেলায় সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে ডিসিরা যদি প্রচুর পরিমাণে মোটিভেশনাল মিটিং করতে পারেন, তাহলে সাধারণ মানুষ সচেতন হওয়ার সুযোগ পাবে। এমনকি ভোটের সঙ্গে যুক্ত অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও সচেতন হবেন। সুষ্ঠু ভোট আয়োজনের ক্ষেত্রে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আব্দুল আউয়াল মজুমদার বলেন, কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসার নিয়োগে ইউএনওদের খুবই সচেতন হতে হবে। যারা প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসার হবেন, তারা যেন নিরপেক্ষ হন, সেটি নিশ্চিত করতে হবে। বিশেষ করে যেসব কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ, সেসব কেন্দ্রে বাড়তি নজর দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, ডিসি-ইউএনওদের সততা দৃশ্যমান হতে হবে। যেন জনসাধারণের পাশাপাশি প্রার্থীরাও তাদের অনৈতিকভাবে চাপ দিতে না পারেন। সেটি নিশ্চিত করতে হবে। ভোটের দিন পুলিশ, আনসার, চৌকিদারসহ যারা কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করবেন তারা যেন কারও বাড়িতে আপ্যায়ন গ্রহণ না করেন, সেটি নিশ্চিতের তাগিদ দিয়ে সাবেক এই সচিব বলেন, তাহলে কর্মকর্তাদের সুনাম অক্ষুণ্ন থাকবে। নতুন ডিসি নিয়োগের উদ্দেশ্যে মাঠে কর্মরত ২০ ডিসিকে প্রত্যাহার করেছে জনপ্রশাসন। গত ১৩ নভেম্বর তাদের প্রত্যাহার করা হয়। তারা সবাই উপসচিব। সরকার চাইলে এই কর্মকর্তারা আগামী নির্বাচনকালীন ডিসি হিসেবে মাঠে থাকতে পারতেন। সাধারণত উপসচিবরা ডিসি নিয়োগের পর যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি পর্যন্ত মাঠ প্রশাসনে ডিসি হিসেবে চাকরির সুযোগ পান। এই ২০ ডিসিকে প্রত্যাহারের পর সচিবালয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়-বিভাগে পদায়ন করা হয়েছে। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের অধীনে অনুষ্ঠিত ২০১৪ ও ২০১৮ সালের একতরফা নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী ডিসিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রশাসন। তাদের অনেককেই বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের জনপ্রশাসনে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা ওএসডি করে রাখা হয়েছে। ফলে তাদের মধ্যে যেমন হতাশা কাজ করছে, তেমনি এ সরকারের আমলে নতুন ডিসি হওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে ভয় কাজ করছে। কারণ, নির্বাচনে ভালো-মন্দ যাই হোক তার দায় ডিসিদের ঘাড়েই পড়ে। গত তিনটি নির্বাচনের দায়দায়িত্ব পুলিশ কর্মকর্তা ও প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের ঘাড়েই পড়েছে। এজন্য এখনকার ডিসিরা ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে নির্বাচনে নিরপেক্ষতা বজায় রাখার বিষয়ে সতর্ক রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তাদের অনেকে। এ ছাড়া বারবার সিদ্ধান্ত বদল করে নিয়োগ ও বদলির ঘটনায় কর্মকর্তারা ভয় ও আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। তারা বলছেন, এরই মধ্যে অনেক নিয়োগ বাতিল হয়েছে। সুতরাং ডিসি নিয়োগ পাওয়ার পরও তারা স্বস্তিতে নেই। এসপি-ওসি পদেও আসছে রদবদল : ভোটের সময় মাঠে পুলিশ সদস্যদের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি বলে বিবেচনা করা হয়। তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও ব্যালট বক্স সুরক্ষার দায়িত্ব পালন করেন। এসব বিবেচনায় নিরপেক্ষ প্রশাসনের অংশ হিসেবে পুলিশেও রদবদলের দিকে এগোচ্ছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সূত্র জানায়, নির্বাচনের অংশ হিসেবে পুলিশ সুপার (এসপি) এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে নিয়োগপ্রত্যাশীদের বাছাইয়ের কাজ চলছে। তাদের নির্বাচনের আগে লটারির মাধ্যমে বদলি-পদায়নের চিন্তা করছে সরকার। জানা গেছে, ৬৪ জেলার এসপিদের কর্মদক্ষতা যাচাই চলছে। এদের মধ্যে যারা যোগ্যতার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবেন, তাদের নির্বাচনের মাঠে রাখা হবে। যারা মূল্যায়নে বাদ পড়বেন, তাদের প্রত্যাহার করা হবে। অবশ্য এসব বিষয় নিয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীলরা। বর্তমানে বিসিএস ২৫ ও ২৭ ব্যাচের কর্মকর্তারা এসপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ভোটের আগে ২৫ ব্যাচের অনেককে প্রত্যাহার করে তাদের স্থলে ২৮ ব্যাচ থেকে নিয়োগ দেওয়া হবে। নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেছেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার জন্য করণীয় সব কিছুই করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একটি ভালো নির্বাচন করা ছাড়া আমাদের কাছে আর কোন বিকল্প নেই। ভালো একটি নির্বাচন করার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা প্রয়োজন। সবার সহযোগিতায় অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। গতকাল রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ইসি’র দ্বিতীয় দিনের সংলাপে তিনি এ কথা বলেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন। ইসি মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার আরও বলেন, নির্বাচনে আমাদের প্রায় ৯ লাখের মত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মাঠে থাকবে। থাকবে ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি কমিটি। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, মোবাইল কোর্ট, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, মনিটরিং টিম, অবজারভেশন টিমও মাঠে থাকবে। এগুলো সব নিয়ে আমরা মাঠে নামার পরিকল্পনা করেছি। তিনি আরো বলেন, প্রায় ৪৩ হাজার প্রিজাইডিং অফিসারকে সারা বাংলাদেশ থেকে সিলেকশন করা হয়েছে। নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসার হচ্ছেন প্রধান। সেই প্রিজাইডিং অফিসার যাতে শক্ত হয়, নিরপেক্ষ হয় সেভাবে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধি শেষে দুইটা অঙ্গীকারনামা রয়েছে। একটা হলো রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে অঙ্গীকারনামা আর আরেকটা হলো প্রার্থীর। দেখবেন, এখানে প্রার্থিতা বাতিলসহ অন্যান্য বিষয় কঠিনভাবে অন্তর্ভুক্ত করেছি। আনোয়ারুল ইসলাম সরকার আরো বলেন, আইন তো যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে। এই আইন দিয়েই কিন্তু অতীতে ভালো নির্বাচন হয়েছে। এ ছাড়াও কিছু বিষয় রয়েছে যে প্রার্থিতা বাতিলের বিধান। পুরো আসন বাতিলের বিধান। সেগুলো কিন্তু নিয়মে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। তিনি আরো বলেন, নির্বাচন কমিশন আগে যে ভুলগুলো করেছে, এই ভুলের স্তূপের পাহাড়ের ওপর দাঁড়িয়ে, আপনাদের সহযোগিতায় এই ভুলগুলোকে এক পাশে রেখে একটা ভালো নির্বাচন করব আর এ জন্য সবার সহযোগিতা চাই। সবার সহযোগিতায় একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই লটারি প্রথার মাধ্যমে মাঠ প্রশাসনকে ঢেলে সাজানো হবে। নির্বাচন শুরু হওয়ার পাঁচ দিন আগ থেকে মাঠে প্রশাসন শক্ত অবস্থানে থাকবে। এরপর নির্বাচনের দিনসহ পরবর্তী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে আরও আর তিন দিন মাঠে প্রশাসনকে রাখা হবে। তিনি আরও বলেন, একটি দেশের নির্বাচন নির্ভর করে জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর। যেহেতু রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনমুখী হয়ে আসনগুলোতে প্রার্থী দেওয়া শুরু করেছে, তাই আর নির্বাচন নিয়ে সামনে কোনো জটিলতা দেখছি না। তবে জানুয়ারিতে নয়, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ত্রায়োদশ নির্বাচন সফল করতে সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে মাঠে ৩০ হাজার সেনাসদস্য কাজ করছেন। পর্যায়ক্রমে নির্বাচনের আগে সেনাবাহিনীর ১ লাখ সদস্য মাঠে থাকবেন। এ ছাড়া কোস্টগার্ডের ৪ হাজার সদস্য, নৌবাহিনীর ৫ হাজার সদস্য, র‌্যাবের ৮ হাজার সদস্য এবং সাড়ে পাঁচ লাখ আনসার সদস্য নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করবেন। আনসার সদস্যদের প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, যেকোনো নির্বাচনে আনসার সদস্যেরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। তাই এবারের নির্বাচনে তাদের অস্ত্র দেওয়া হবে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ